নাচোলের ইউএনওর বাবা-মা নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করবে দুদক

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:১০ PM, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার;

মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা ও চাচিকে মা উল্লেখ করে চাচার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলাটি তদন্ত করছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু। এই পর্যায়ে তিনি কামাল হোসেনসহ দালিলিকভাবে পাওয়া তার বাবা মো. আবুল কাশেম, মা মোছা. হাবীয়া খাতুন, চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচী মোছা. সানোয়ারা খাতুনের ডিএনএ টেস্ট করবেন।

সম্প্রতি এই পরীক্ষার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম কমিশনে আবেদন পেশ করলে কমিশন পরীক্ষাটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনুমতি দেন। তাদের ডিএনএ টেস্ট করে কামাল হোসেনের প্রকৃত বাবা, মা সনাক্ত করা হবে। মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

এর আগে কামাল হোসেন মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নওগাঁর আত্রায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। আত্রাইয়ে দায়িত্বপালনকালে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।

দুদক জানায়, আসামি কামাল হোসেন নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা উল্লেখ করে প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেম ও গর্ভধারিণী মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে চরম প্রতারণা করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মো. কামাল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সিরাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি এবং ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নকালে বাবার নাম হিসেবে তার প্রকৃত জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেমের নাম ব্যবহার করলেও পরবর্তীতে একই স্কুলে নবম শ্রেণিতে তিনি তার আপন চাচা মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা সাজিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি পরীক্ষায় চাচা-চাচির নামই বাবা-মার নাম হিসেবে ব্যবহার করেন। এ ছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে মো. কামাল হোসেন তার জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রকৃত বাবা-মায়ের পরিবর্তে চাচা-চাচির নাম ব্যবহার করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :