নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ৪৫ বছরের চেয়ারম্যানের বাল্যবিয়ে; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়
ডিবিসি প্রতিবেদক;
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে বাল্যবিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন ৪৫ বছর বয়সী এক ইউপি চেয়ারম্যান। তৃতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। ঘটনাটি উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে। সরকার বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার পরও একজন ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই কিভাবে বাল্যবিয়ে করেন তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সুষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দোলন গ্রামের প্রতিবন্ধী বাচ্চু মিয়ার মেয়ে বন্নি আক্তারের ওপর নজর পড়ে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের। এরপর ওই চেয়ারম্যান বন্নি আক্তারকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং হতদরিদ্র মেয়েটির পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখাতে থাকে। এরই একপর্যায়ে গত রোববার রাতে মেয়েটির পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে বন্নির আক্তারের বিয়ে দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের ব্যক্তিগত জীবনে এক স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে এরআগে তিনি আরো একটি বিয়ে করলেও সেটি বেশিদিন টেকেনি। চেয়ারম্যানের তৃতীয় বিয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পরলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে বাল্যবিয়ে করলেও প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, যেহেতু বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে, সেখানে মোবাইলকোর্ট করার সুযোগ থাকেনা। তবে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

