নওগাঁর স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নওগাঁ প্রতিনিধি;
নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী নফির শাহকে (৫৮) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত হাসান মাহমুদুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার রশিদপাড়া গ্রামের নফির শাহ (৫৮) এর সঙ্গে একই গ্রামে লতিফন ওরুফে লুৎফন (৫২) এর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। গত ৭ বছর পূর্বে নফির শাহ আবারও হেমলতা ওরুফে বাওই (৪০) নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে বড় স্ত্রী লতিফনকে নির্যাতন করতেন নফির শাহ। গত ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে নফির শাহ নিহতের ভাতিজা সাইফুল ইসলামকে ফোন করে জানাই তার ফুফুকে কে যেন মেরে ফেলেছে। এরপর সাইফুল তার পরিবারের সদস্য বাবা ও চাচা সহ অন্যদের অবগত করেন। পরে গ্রাম পুলিশ জসিম উদ্দিনসহ নিহতের পরিবারে সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এসময় তারা দেখেন- নিহত লতিফন ঘরের মেঝেতে মাথায় ও কোমরে বালিশ সহ চিত অবস্থা পড়ে আছে। তার ঘারের ডান পাশে কালো দাগসহ দুই ঠোঁট ফোলা দেখা যায়। এছাড়া দুই কানের লতিও ছিড়া ছিল।
ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে পরদিন ২৮সেপ্টেম্বর নফির শাহ ও তার ছোট স্ত্রী হেমলতা ওরুফে বাওইকে আসামী করে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শুনানি অন্তে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আসামী নফির শাহ কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। একই সাথে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে দ্বিতীয় আসামী হেমলতা ওরুফে বাওই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাডভোকেট সামশুর রহমান।

