দেবীগঞ্জে ডিবির ভূয়া ওসি ও কনষ্টেবল পরিচয় দেওয়া দুই ব্যক্তি আটক
স্টাফ রিপোর্টার;
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ডিবি পুলিশের ওসি ও কনস্টেবল পরিচয় দেওয়া দুই প্রতারককে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৮ টায় করতোয়া সেতুর পশ্চিমে ব্রীজপাড় এলাকায় তাদের আটক করা হয়।
আটক দুই ব্যক্তি হলেন, ঠাকুরগাঁও সদরের গড়েয়া গোপালপুর এলাকার নুর আলমের ছেলে রেজাউল ইসলাম(৪৩) ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ডাকেশ্বরী এলাকার আজিজুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৪৫)। এই সময় তাদের ব্যবহৃত একটি পালসার ১৫০ সিসি মটরসাইকেল আটক করা হয়।
এই সময় প্রতারক দুই ব্যক্তির সাথে ছিলেন খন্দকার অহিদুর রহমান ও তার ছেলে খন্দকার রিফাত রহমান নামে আরো দুইজন। তাদেরকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। নিজেদেরকে ভুক্তভোগী দাবি করে খন্দকার অহিদুর রহমান ও তার ছেলে জানায়, প্রতারক ঐ দুই ব্যক্তি তাদেরকে জিম্মি করে ঠাকুরগাঁও থেকে দেবীগঞ্জে এনেছিল।
ওহিদুর রহমান ফরিদপুর সদরের কানাইপুর এলাকার খন্দকার নওশের আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ফরিদপুর সদরের কানাইপুর বাজারে তাদের ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ আছে। যেখানে জুট মিলের পুরনো যন্ত্রাংশ নিয়ে সেগুলো মেরামত করে পুনরায় বিক্রি করা হয়। ঠাকুরগাঁও এ নিরাব আলী নামে এক ব্যক্তি জুট মিলের পুরনো যন্ত্রাংশ বিক্রি করবেন বলে অহিদুর রহমানকে ঠাকুরগাঁও এ আসতে বলেন। পরে অহিদুর ও তার ছেলে রিফাত গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর থেকে রওনা হয়ে শুক্রবার সকাল ৭টায় ঠাকুরগাঁও এ নামেন। এরপর প্রথমে তারা একটি আবাসিক হোটেলে বিশ্রাম নেয়। পরে নিরাব আলীর সাথে বের হন পুরনো যন্ত্রাংশ দেখবেন বলে। এরপর ঠাকুরগাঁও বাইপাস সড়ক হয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ করে চারজন ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের পথরোধ করেন। এদের মধ্যে প্রতারক রেজাউল নিজেকে ডিবির ওসি এবং জাহাঙ্গীর নিজেকে কনষ্টেবল পরিচয় দেয়।
এরপর সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার পর বাবা-ছেলেকে হ্যাণ্ডকাফ পরায়। এই সময় তাদের দুইটি স্মার্টফোনও নিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। পরে হ্যাণ্ডকাফ খুলে দুইটি মটরসাইকেলে তাদের তুলে নেয় থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু থানায় না নিয়ে ভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে এক পর্যায়ে দেবীগঞ্জে পর্যন্ত আসেন মোটরসাইকেলে। কিন্তু দেবীগঞ্জ ব্রীজপাড় এলাকায় পৌঁছলে লোকজন দেখতে পেয়ে অহিদুরের ছেলে রিফাত ধ্বস্তাধস্তি করে মোটরসাইকেল থেকে নেমে পড়ে এবং মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি সোয়েল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যেহেতু প্রতারনার বিষয়টি ঠাকুরগাঁও ঘটছে, সেজন্য সেখানে মামলা হবে। আমরা কথা বলেছি সেখানে।

