তবে কি অধরাই থেকে যাবে বালুকাণ্ডের মুলহোতা তারিফ চৌধুরী

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৮:০২ AM, ১৪ মার্চ ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

তবে কি অধরাই থেকে যাবে বালুকাণ্ডের মুলহোতা তারিফ চৌধুরী (৫৫)। তাকে মামলা থেকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশীট দেওয়ায় সচেতন মহলের নানা প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, নামীয় দুই নম্বর আসামী করে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী তারিফ চৌধুরীর নামে থানায় মামলা করা হয়। কিন্তু তারিফ চৌধুরী ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় হওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তারিফ চৌধুরী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর কাজলা গ্রামের বাসিন্দা। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- উত্তর ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা নুনু মিয়া (৫১) শামীম মন্ডল (৫৪), বাবলু মিয়া (৪৬), ধর্মপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪৪), কাজলা গ্রামের জাহিদ চৌধুরী (৩৩) ও গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বোয়ালিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছিল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে আসামী করে রাখালবুরুজ ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সুজন মিয়া বাদী হয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় ৫২৯ নং জি,আর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই আলাউদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মামলা দায়েরের পর আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন নেন। দীর্ঘ সময় পর মামলার ২নং আসামী বালু দস্যু তারিফ চৌধুরীকে মামলার আসামী থেকে বাদ দিয়ে চার্জশীট দাখিল করেন এসআই আলাউদ্দিন। অথচ এই তারিফ চৌধুরীই বালু দস্যুদের মুলহোতা।

এলাকাবাসী জানান, তারিফ চৌধুরী আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় হওয়ায় চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। বালু দস্যু তারিফ চৌধুরীকে চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়ায় এলাকাবাসী হতভম্ব হয়ে পড়েছে। তাদের দাবী মুলহোতাকে বাদ দিয়ে বিচার কাজ চললে সেটি সঠিক হবে না। সেই সাথে অবৈধ বালু উত্তোলনও বন্ধ হবে না।
একটি সূত্র দাবী করছে, তদন্ত কর্মকর্তা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে সত্যকে আড়াল করে মূল হোতা তারিফকে বাদ দিয়েছে। তারা পুনঃতদন্ত করে তারিফ চৌধুরীকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উপরের মহলের কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১০ জানুয়ারী আসামীরা গাইবান্ধায় আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন না দিয়ে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারী পুলিশ মামলার ২নং আসামী তারিফ চৌধুরীকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশীট দেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী তারিফ চৌধুরী জামিনে বেড়িয়ে আসে। অন্য আসামীরা জেল হাজতে রয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন :