জনগণের আপত্তি উপেক্ষা করেই গাইবান্ধায় বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে আজ
স্টাফ রিপোর্টার;
জনগণের আপত্তির মুখেও গাইবান্ধায় শিল্প ও বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে। আজ বিকেল ৪ টায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশেই ‘অফিসার্স কোয়ার্টার মাঠে’ মেলা উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে বাণিজ্য মেলার আয়োজন না করতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিল।
জনগণের দাবি, বাণিজ্য মেলায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসে না, ব্যবসায়ীদের কোনো স্বার্থই রক্ষা হয় না। উপরন্তু মেলায় বিক্রিত পণ্য অত্যন্ত নি¤œমানের এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ, তদুপরি অতিরিক্ত দাম। একটি সিন্ডিকেটের দোকান মেলায় স্থান পায়। ওই সিন্ডিকেটই বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে থাকে। চলতি বছরের প্রথম দিকেই গাইবান্ধায় বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সাথে মেলার স্বত্ত¡াধিকারী আল মামুনের সাথে গোলমালও হয় এবং তা মামলা পর্যন্ত গড়ায়। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বাণিজ্য মেলা সম্পর্কে শহরের রেডিমেড কাপড় ব্যবসায়ী মামুন বলেন, গাইবান্ধা ছোট শহর, এখানে এক বছরে দুইবার মেলা হওয়া আপত্তিকর। কারণ এ মেলার কারণে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতারা মেলায় কেনাকাটা করে প্রতারিত হয়।
স্থানীয় অধিবাসী আরিফ আলাল বলেন, আমাদের আপত্তি উপেক্ষা করেই বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে বাণিজ্য মেলার আয়োজন দুঃখজনক। মেলা হোক আপত্তি নেই, কিন্তু স্কুলের পাশে কেন? এটি অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রমোদা রঞ্জন পাল বলেন, অভিবাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে মেলা বন্ধে তারা জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু রনো ইভেন্টের স্বত্ত¡াধিকারী আল মামুন ও মেলা কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে দেখা করে কোনো সমস্যা না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহামুদ আল হাসান এর সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

