চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ অমান্য করায় মানবেতর জীবন সাদ্দামের
গাইবান্ধা প্রতিনিধি;
ফিটার গ্রেড দ্বিতীয় সাদ্দাম হোসেনকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (লালমনিরহাট) নির্দেশ দিলেও এস.এস.এ.ই/আইসি/টিএক্সআর রায়হানুল ও ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন অফিসের উচ্চমান সহকারী আনোয়ার হোসেন তা অমান্য করছেন। ফলে সাদ্দাম হোসেন চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে চরম আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি রিফাইতপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনে ফিটার গ্রেড দ্বিতীয় পদে ২০১২ সালে যোগদান করেন। কিন্তু ২০১৭ সালে একটি পারিবারিক মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। পরে জেলা জজ আদালতের আপিলের মাধ্যমে তিনি ৫ দিন পরেই জামিনে মুিক্ত পান। আদালতের রায়ে চাকরিচ্যুতির নির্দেশনা না থাকলেও অবৈধভাবে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন অফিসের সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম তাকে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই বরখাস্ত করেন।
পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডি.আর.এম) বরাবরে চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেন। ডি.আর.এম আবেদন মঞ্জুর করে ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেনকে ৮-৩-২০১৮ তারিখ থেকে চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দেন। কিন্তু আবেদনটি আটকে রেখে প্রধান সহকারী মো. রবিউল ইসলাম ও উচ্চমান সহকারী আনোয়ার হোসেন গোপনে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। চাকরিতে পুনর্বহালে ডি.আর.এম এর আদেশের কপিটি বোনারপাড়া ক্যারেজ ডিপোতে জমা দিতে গেলে ফিটার গ্রেড প্রথম জাহাঙ্গীর আলম তা গ্রহণ করেননি।
আবেদনটির ব্যাপারে টিএক্সআর রায়হানুলকে জানালে তিনি বলেন, ‘পুনর্বহালের আবেদন বুঝি না, নতুন করে চাকরিতে যোগদান করো’। চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে নিদারুণ আর্থিক কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন ৮-৩-২০১৮ তারিখ হতে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য সরকারের রেলওয়ে উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।