ঘোড়াঘাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ৩ প্রার্থীর হ্যাট্টিক

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:০১ PM, ০৩ নভেম্বর ২০২১

Spread the love

লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে হ্যাট্টিকের রেকর্ড গড়েছেন ৩ জন প্রার্থী। ২ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।

পরে সন্ধা সাড়ে ৭টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলাফল ঘোষণা করে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক। ফলাফলে নারিকেল গাছ প্রতীকে ৬ হাজার ৪২২ ভোট পাওয়ায় পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলনকে বিজয়ী ঘোষণা করে।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৪ ভোট, আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীকে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউনূছ আলী মন্ডল পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৬ ভোট, মোবাইল ফোন প্রতীকে পৌর জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল মান্নান সরকার পেয়েছেন ৮৩৪ ভোট এবং রেল ইঞ্জিন প্রতীকে রিপন আহম্মেদ বাবু পেয়েছেন ৯২ ভোট।

একই সময় ২নং ওয়ার্ডে আব্দুস সোবাহান উটপাখি মার্কায় ৬১৬ ভোট এবং ৯নং ওয়ার্ডে আব্দুল কাদের পানির বোতল প্রতীকে ৫২৬ ভোট পাওয়ায় বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা।

এই উপজেলার ৪নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদকে বিভক্ত করে ২০০৫ সালে ঘোড়াঘাট পৌরসভা গঠিত হয়। এরপর ৫ বছরের জন্য গঠন করা পৌর প্রশাসক। ২০১০ সালে প্রথম বারের মত এই পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে টেলিফোন প্রতীকে প্রথম বারের মত মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার মিলন এবং ২নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে আঃ সোবাহান এবং ৯নং ওয়ার্ডে হরিণ প্রতীকে আব্দুল কাদের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এরপর ২০১৬ সালে দ্বিতীয় বারের মত দলীয় প্রতীকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনেও দলীয় ধানের শীষ প্রতীকে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদেরকে পরাজিত করে পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলন মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২নং ওয়ার্ডে গাজর প্রতীকে আঃ সোবাহান এবং ৯নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে আব্দুল কাদের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

পরপর ৩ বার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে নজির স্থাপন করেছেন ঘোড়াঘাটের এই তিন জনপ্রতিনিধি। সাধারণ ভোটাররা বলছে, এলাকার উন্নয়নে তাদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। মানুষের সুখে দুখে তারা সব সময় পাশে থাকায় এই তিন জনপ্রতিনিধিকে প্রতিবার নির্বাচিত করে ভোটাররা।

ঘোড়াঘাট পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, এই তিন জনপ্রতিনিধি আমাদের জন্য গর্ব। তাদের তিন জনেরই ব্যক্তিগত ইমেজ খুবই ভালো ছিল এবং তারা নির্বাচিত হবার পর জনগণের জন্য কাজ করে গেছে। যে কারণেই তারা জনগণের ভোটে প্রতিবার নির্বাচিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন পর্যায়ের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের উচিৎ এই তিন জন জনপ্রতিনিধিকে অনুসরণ করা।

 

আপনার মতামত লিখুন :