ঘোড়াঘাটে ১ কেজি ওজনের কষ্টিপাথর উদ্ধার
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার করতোয়াপাড়া গ্রামের আজিল (৫৫)। গত ফেব্রুয়ারী মাসে শেষ সপ্তাহে তার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী থেকে কষ্টি পাথরের মূর্তির দুটি পায়ের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে নিজের কাছে রাখে। পরেদিন তার জামাতা আবু তাহের (৩৭) এই কষ্টি পাথর শশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। আবু তাহের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার খোদাদপুর গ্রামের মজিবর রহমান মুন্সির ছেলে।
গত ১৮ দিন আগে আজিলের জামাতা আবু তাহের মারা যায়। তার মৃত্যুর পর এই কষ্টিপাথর কার কাছে থাকবে এই নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দ্বন্দে¦র একপর্যায়ে মৃত তাহেরের বড় বোন সাহজাদী পারভীন (৪৯) পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে কষ্টিপাথর নিজের কাছে রাখেন।
গতকাল সোমবার (৪ মে) রাতে খবর পেয়ে ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র চাকী কষ্টি পাথরটি উদ্ধার করে। পাথরটির ওজন ১ কেজি ২৪৯ গ্রাম।
শাহজাদি পারভীন জানান, লোকমুখে শোনা যায় কষ্টিপাথর খুবই মূল্যবান ও শক্তিশালী সম্পদ। এই পাথর বাড়িতে থাকলে সংসারে আয় উন্নতি বৃদ্ধি পায় এবং জমির ফসল বৃদ্ধি পায়। এসব নানা কুসংস্কারে বিভ্রান্ত হয়ে তার ছোট ভাই শশুর বাড়ি থেকে পাথরটি সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখেছিল।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, পাথরটি আমরা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) মূলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। উদ্ধার করা পাথরটি আসলে কষ্টিপাথর নাকি কষ্টিপাথর সদৃশ্য অন্য কোন পাথরের তা আমরা নিশ্চিত না। তবে কষ্টিপাথর ভেবেই আজিল উদ্দিন এবং তার জামাতা এই পাথরটি নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল। তিনি আরও জানান, বিধি মোতাবেক এই পাথরটি যাচাইয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে।
