ঘোড়াঘাটে নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর হামলা; ডিএনএ পরীক্ষায় রবিউলের সম্পৃক্ততা মিলেছে

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:২৯ PM, ১০ অক্টোবর ২০২০

Spread the love

দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা উমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় ডিএনএ রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসেছে। রবিউলের পরিহিত প্যান্টে লেগে থাকা রক্তের সাথে শেখ উমর আলীর রক্তের ডিএনএ-এর মিল রয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইউএনও, তার ছেলে ও বাবার পরনের কাপড় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছিল। গত বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সেই ডিএনএ-এর পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সিআইডি উক্ত রির্পোটটি আদালতে পাঠিয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

পুলিশ জানান, হামলার ঘটনায় ইউএনও সহ বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের পরনের কাপড়, সংগৃহীত আলামতে ডিএনএ ৪ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৩জন হলেন- ইউএনও ওয়াহিদা খানম, তার ছেলে ও তার বাবা। অন্যজন হলেন, হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত চাকরিচ্যুত রবিউল তারই বাসভবনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিল।
রবিউল গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। রবিউল বলেন, চুরির অপবাদে চাকরি হারানোয় ইউএনওর ওপর তার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে রবিউল গত এপ্রিলের শুরুতে হামলার পরিকল্পনা করেন এবং একক পরিকল্পনাতেই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে বলে জবানবন্দিতে জানান রবিউল।

প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনওর সরকারি বাসভবনে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে শৌচাগারের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে হামলা চালায় রবিউল। এ ঘটনায় পুলিশ গত ৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় যুবলীগের আসাদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর হোসেন সহ ৪জনকে আটক করে। কিন্তু জাহাঙ্গীর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। আটক অপর ৩জন এখনো কারাগারে আছেন। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা রবিউলকে ১০ সেপ্টেম্বর রাতে আটক করেন। রবিউল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেন বলে জানান পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাম জাফর জানান, তদন্তের কাজ শেষ পর্যায়ে। পুলিশ রবিউলের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। মেডিকেল সনদপত্রের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবেদন করা হয়েছে। ওইদিন যারা এ্যাম্বুলেন্সে করে ইউএনও ও তার বাবাকে মেডিকেলে নিয়েছিলেন তাদেরও সাক্ষ্য নেওয়া প্রায় শেষের মধ্যে।

আপনার মতামত লিখুন :