গোবিন্দগঞ্জ আদালতে স্থায়ী ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে বিচারকার্য

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:৫০ PM, ২১ এপ্রিল ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (চৌকি) আদালতে ছয় মাস যাবৎ স্থায়ী ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় বিচারকার্য স্থবির হয়ে পড়েছে। নেই বিচারিক কার্যক্রম বেড়ে যাচ্ছে দীর্ঘসূত্রিতা ও মামলাজট। চলে শুধু মামলা ফাইলিং ও জামিন শুনানি।

এই আদালতে প্রায় তিন হাজার জি,আর মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গাইবান্ধা থেকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট উপেন্দ্র চন্দ্র দাস এসে সপ্তাহে প্রতি বুধবার মামলা ফাইলিং ও জামিন শুনানি করেন। জামিনযোগ্য ধারায় আসামী গ্রেপ্তার হলে অপেক্ষা করতে হয় ওইদিনের জন্য। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিচারপ্রার্থীসহ আইনজীবিদের।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটের বদলীর পর এখানে স্থায়ী কোন ম্যাজিষ্ট্রেট না দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই আদালতে গাইবান্ধা থেকে সপ্তাহে একদিন ম্যাজিষ্ট্রেট আসে এবং শুধুমাত্র নতুন মামলা ফাইলিং ও জামিন শুনানি করেন তিনি। এতে মামলাজট দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিয়মিত ম্যাজিষ্ট্রেট থাকার সময়েও এ আদালতে অনেক মামলার দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। এর ওপর আবার নিয়মিত ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় মামলার দীর্ঘসূত্রিতা আরো বেড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে বিচার প্রার্থীরা। আইনজীবিরাও নিয়মিত ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় তারা তাদের ক্লায়েন্টদের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এপিপি মিজানুর রহমান জানান, প্রায় ছয়মাস ধরে আদালতে নিয়মিত ম্যাজিষ্ট্রেট নেই। ফলে একদিকে মামলাজট অন্যদিকে মামলার দীর্ঘসূত্রিতায় হয়রানী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ আইনজীবি সমিতির পক্ষ থেকে গাইবান্ধা চীফ জুডিসিয়াল এবং জেলা ও দায়রা জজ মহোদয়কে বার বার তাগাদা দিলেও আজও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আইনজীবি আব্দুল কাদের বলেন, কোন জামিনযোগ্য আসামী বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হলে জামিনের জন্য সপ্তাহ লেগে যায়। এতে বিচার প্রার্থীরা বিভিন্নভানে হয়রানী হচ্ছে। তাই দ্রুত স্থায়ী বিচারক নিয়োগের দাবী জানান তিনি।

বিচার প্রার্থী জাকারিয়া ইসলাম ও লাকি বেগম বলেন, মামলার বিচারিক কার্যক্রম না থাকায় একের পর এক দিন ধার্য করা হচ্ছে। এতে করে সময়ের পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খুব দ্রুত স্থায়ী বিচারক নিয়োগের দাবী জানান বিচার প্রার্থীসহ আইনজীবিরা।

উল্লেখ্য, গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (চৌকি) আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট পার্থ ভদ্র গত বছরের সেপ্টেম্বরে বদলী হন। এরপর থেকে নিয়মিত ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় বাড়ছে মামলাজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচারপ্রর্থীসহ আইনজীবিরা।

আপনার মতামত লিখুন :