গোবিন্দগঞ্জে শোলাগাড়ী ঈদগাহ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্ণীতির রাজত্ব

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:১২ PM, ২৪ জুলাই ২০২৩

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার;

জালিয়াতি ও দুর্নীতির রাজত্ব খুলে বসেছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শোলাগাড়ী ঈদগাহ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মিনহাজ উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই, বিশেষ করে নিয়োগ-বাণিজ্য করে তিনি কোটি টাকার ওপর হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তার এমন অপকর্ম নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার ঝড়। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিনহাজ উদ্দিন শোলাগাড়ী ঈদগাহ্ আলিম মাদরাসায় ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে যোগদান করেন। সে সময় তিনি দ্বিতীয় বিভাগে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক পাশ জানালেও কার্যত তিনি পাশ করেছিলেন ‍তৃতীয় বিভাগে। মূলত ওই সময় তার বাবা ইদ্রিস আলী সরদার ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক থাকায় তার প্রভাবে চাকরি বাগিয়ে নেন মিনহাজ।

২০১২ সালে বাবার প্রভাব খাটিয়েই মিনহাজ অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন। এ সময় তিনি জাল সনদ প্রদর্শন করেন। তবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিলেও এখন পর্যন্ত তিনি সহকারী শিক্ষকের বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।

এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মাদরাসা বোর্ড থেকে তদন্ত হলে অধ্যক্ষের জাল-জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। তার বিরুদ্ধে এমপিও বন্ধসহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সেসব নির্দেশ আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।

উল্টো মিনহাজ উদ্দিন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনকে (এনটিআরসিএ) উপেক্ষা করে ২০১৯ সালে শিক্ষক আফজাল হোসেন মারা গেলে ওই শূন্যপদে হাম্মাদুর রহমান নামে একজনকে নিয়োগ দেন। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত মোফাজ্জাল হোসেনের পদে জহুরুল হক এবং শিক্ষক একেএম বদরুল হুদা অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেলে ওই পদে প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমানকে নিয়োগ দেন।

এখানেই শেষ নয়, লাইব্রেরিয়ান পদে শাহিদা বেগমকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে একই পদে গোপনে শামিমা বেগম নামে আরেকজনকে জাল সনদে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তি করান মিনহাজ।

২০১৮ সালে মামুনুর রশিদ (সহ-মৌলভি) নামে আরেকজনকে বিধিবর্হিভূতভাবে নিয়োগ দেন তিনি।

২০১৫ সালে চারজন শিক্ষক-কর্মচারী থাকাকালে তাদের পদে আরো চারজন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা বাণিজ্য করেন মিনহাজ উদ্দিন। এমপিওভুক্তির পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

এসব বিষয়ে মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম পারভেজ বলেন, মিনহাজ উদ্দিন মনে করেছিলেন এভাবে জালিয়াতি করেই যাবেন। কিন্তু সত্য গোপন থাকে না। এভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :