গোবিন্দগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবি
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারের বিরোধপূর্ণ জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সাঁওতালরা।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটি উদ্যোগে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে দুই ঘণ্টা গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড় নামকস্থানে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে সাপমারা ইউনিয়নের মাদারপুর জয়পুরপাড়া থেকে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে প্রায় ৫০০ শিশু, নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাটামোড় মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল হেমব্রম, সহ কোষাধ্যক্ষ প্রিসিলা মুরমু, সদস্য ময়নুল ইসলাম ও আদিবাসী নেত্রী রুমিলা কিসকু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, একটি কুচক্রি মহল সাঁওতালদের বাপ-দাদার আবাদি জমিতে ইপিজেড নির্মাণের পায়তারা করছে। তারা বলেন, আমরাও উন্নয়নের পক্ষে তবে এই বিরোধপূর্ণ জমি ছাড়াও অনেক খাস জমি পতিত রয়েছে সেখানে ইপিজেড করা হোক। এই জমিতেই কেন ইপিজেড নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ইপিজেড নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধের দাবী জানাই। সেইসাথে তিন সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার, ভাংচুর, লুটপাট, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, বাপ-দাদার জমি ফেরত, সাঁওতাল-বাঙালীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সাতদফা দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারের বিরোধপূর্ণ জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে চিনিকল শ্রমিক, পুলিশ ও সাঁওতালদের ত্রিমুখি সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের গুলিতে শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মার্ডি নামে তিন সাঁওতাল নিহত হন। আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ৩০জন।
