গোবিন্দগঞ্জে নির্বাচনী কর্মকর্তা পরিবর্তন চেয়েও মেলেনি প্রতিকার
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনে ৫নং সাপমারা ও ১০ নং রাখালবুরুজ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ পায়। পরে সাপমারা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী শামীম রেজা মণ্টু, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া মার্কার তোফাজ্জল হোসেন সরদার ও টেলিফোন মার্কার সুমন সরদার ৯টি কেন্দ্রে প্রকাশিত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ওপর অনাস্থা এনে তাদের পরিবর্তনের আবেদন করেন।
অপরদিকে রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রার্থী নূরজাহান বেগমও তার ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অনুরূপ কারণে পরিবর্তনের আবেদন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে জমা করেন।
সাপমারা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী শামীম রেজা মণ্টুর আবেদন সূত্রে জানা যায়, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিপক্ষ একজন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে যোগসাজসীভাবে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ, গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, শহরগছি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফুলপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলপুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলপুকুরিয়া আলিম মাদ্রাসা, সুন্দরকোল দাখিল মাদ্রাসা, বালুভরা হাইস্কুল, নাগের ভিটা স্কুল, ফুলপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিয়ারাপুর আইজিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রিজাইডিং অফিসার, সহ-প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা ব্যক্তিগতভাবে একজন নির্দিষ্ট চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত।
একই অভিযোগে এই ইউনিয়নের অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের তোফাজ্জল হোসেন সরদার ও টেলিফোন প্রতীকের সুমন সরদারও অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে ভোটগ্রহণের তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করে পুন নিয়োগদানে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে আবেদন জমা দেন।
অপরদিকে অনুরূপ অভিযোগ এনে ১০ নং রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রার্থী মোছা. নূর জাহান বেগম রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন জমা করেন।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

