গোবিন্দগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:০৮ PM, ২৩ জুলাই ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন চৌধুরী উপস্থিত প্রিণ্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ২৩ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এ সময় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, উপজেলা অতিরিক্ত মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার রাশেদুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিন উপজেলাজুড়ে মাইকিং এর মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা, দ্বিতীয় দিন ব্যানার ফেস্টুন সহযোগে প্রধান প্রধান সড়ক সমূহে র্যালি, পোনামাছ অবমুক্তকরণের উদ্বোধন, উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা, সফল মৎস্য চাষি-ব্যক্তি-উদ্যোক্তাকে পুরস্কার ও মৎস্য সেক্টরের বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্যবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। তৃতীয় দিন প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময়, চতুর্থ দিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার পরিদর্শন, পঞ্চম দিন মাছ চাষ বিষয়ক বিশেষ পরামর্শ সেবা প্রদান, পুকুরের মাটি ও পানি পরীক্ষা। ষষ্ঠ দিন সুফলভোগী-মৎস্যচাষীদের প্রশিক্ষণ ও শেষ দিন উপজেলা পরিষদ হলরুমে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে মৎস্য কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় মোট মাছের চাহিদা ১২ হাজার ৪৪ মে.টনের মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে ১০ হাজার ৩০২ মে. টন। মোট ঘাটতির পরিমাণ ১৭৪২ মে.টন। মৎস্য হাটবাজারের সংখ্যা ২৮টি; আড়তের সংখ্যা ১০টি; সরকারি মৎস্যজীব উৎপাদন খামার ১টি; বেসরকারি হ্যাচারী ৩টি; পোনা ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১০০ জন, মৎস্যচাষীর সংখ্যা ৭৫০০ জন, নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৪৮০২ জন ও সমিতির সংখ্যা ৫১টি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে মাছের মোট উৎপাদন ছিল ২৭ দশমিক ০১ লাখ মেট্রিক টন; যা ২০২০-২০২১ এ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ২১ মেট্রিক টন। উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়; ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম; মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় ও তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। হারিয়ে যেতে বসা দেশীয় মাছ শিং, মাগুর, পাবদার মত আরও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন ও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্যখাতের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। ২০২১ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ ভাগ এবং কৃষিজ জিডিপির এক চতুর্থাংশের বেশি (২৬.৫০%) মৎস্য খাতের অবদান।

আপনার মতামত লিখুন :