গোবিন্দগঞ্জে ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে অর্ধশত ইটভাটা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৯:০৪ PM, ০৯ ডিসেম্বর ২০২০

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে অর্ধশত ইটভাটা। ভাটা মালিকরা বলছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা ভাটা চালাচ্ছেন। তবে প্রশাসন বলছে এসব অভিযোগ মিথ্যা।

জানা গেছে, উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের দামোদরপুর গ্রামে ইফতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ রয়েছে বেশ কিছু স্থাপনা। গ্রামের ভেতর রাস্তার পাশে কৃষি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে আর.আর.এইচ নামে ইটভাটা। ভাটার কারণে উক্তস্থানে প্রায় ১শ’ একর কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পড়বে। এতে করে শ্রী কোমল মাস্টার ও আলহাজ রবিউল ইসলাম রেজভীর দুটি সেচপাম্পও বন্ধ হয়ে যাবে। 

শুধু এই ইটভাটাই নয় এমনিভাবে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশেই রয়েছে কমপক্ষে ৫টি ভাটা। অবৈধভাবে এসব ভাটা চলমান থাকলেও তা যেন দেখার কেউ নেই। এভাবেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা। যাদের নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। এতে প্রায় ১২শ’ হেক্টর কৃষি জমি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের কাছে উৎকোস হিসেবে ১০ লক্ষাধিক টাকা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ভাটা মালিক আব্দুল কাফি মণ্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলায় যতগুলো ভাটা আছে কারো লাইসেন্স নেই। আর আমরা তো সবে চালু করতে যাচ্ছি। 

রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। অনুমোদনহীন সব ভাটাই ভেঙে দেওয়া হবে। এদিকে ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ৫০টি ভাটা রয়েছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখনো অনুমোদন পাইনি। সবাইকে ম্যানেজ করেই ভাটাগুলো চলছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. খালেদুর রহমান বলেন, আমরা ভাটা বন্ধ করে দিতে পারিনা। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়ে থাকি।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, বিভিন্ন কারণে গত মৌসুমে ভাটায় অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। এবারে অবৈধভাটার তালিকা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরিই ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :