গোবিন্দগঞ্জে গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম
শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকে;
গোবিন্দগঞ্জে গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ঘরই বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করছেনা তারা। এলাকাবাসী সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুলহার গুচ্ছ গ্রামে ২০১৬ সালে ১৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে ৩০টি ঘর এখনো ব্যবহারের অনুপযোগী রয়েছে। ১০০টি ঘরের মধ্যে ৬০টি ঘরে লোক বসবাস করছে। ৪০টি ঘর এখনো লোক শূন্য রয়েছে।
এরপর ২০১৮ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে ৭টি ঘরে লোক বসবাস করতে দেখা যায়। বাকী ৫৩টি ঘর লোক শূন্য রয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে গুচ্ছগ্রামে আরো ৬০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। উক্ত ৬০টি ঘরে অদ্যবধি পর্যন্ত কাউকে বসবাস করতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসী জানায়, যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়মের কারণে প্রকৃত ব্যক্তিরা ঘর না পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে বেতারা গুচ্ছগ্রামে ৭০টি ঘর নির্মাণ করা হয়।তার মধ্যে অর্ধেক ঘরেই লোক বসবাস করছেনা। সাহেবগঞ্জ গুচ্ছগ্রামে ৬০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। উক্ত ৬০টি ঘরের মধ্যে বর্তমানে ২৩টি ঘরে কোন লোক বসবাস করছেনা বলে বসবাসকারীরা জানান।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যাদের জায়গা জমি রয়েছে, তাদের নামেও ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফলে সেই সকল লোকেরাই গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাস করছেনা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাহেবগঞ্জ গুচ্ছগ্রামে মৃত সাফের উদ্দীনের ছেলে সাকোয়াত হোসেনের সেমি-পাকা বাড়ী রয়েছে। তার নামেও গুচ্ছগ্রামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এলাকাবাসী জানান, যে সকল ঘরে লোক বসবাস করে না এবং যাদের জমি ও বাড়ী রয়েছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তাদের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হলে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।

