গোবিন্দগঞ্জে কাজ না করেই এডিবি প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগি
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এডিবি প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় চলতি অর্থ বছরে এডিবি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ সড়কে সোলিং এর কাজের জন্য ১৭টি ইউনিয়নে পৃথকভাবে দেড় লক্ষ করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে কোন কাজ না করেই সব বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়কে ইটের সোলিং এর কাজের জন্য দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সে কাজের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রাজাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাস্তবতা হলো, ১৭টি ইউনিয়নের কোন চেয়ারম্যানই এ প্রকল্পের কাজ করেননি। তিনি আরও বলেন, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে ৮০ হাজারেরও কম টাকা দিয়েছেন।
অপর দিকে, সাপমারা ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই প্রকল্পের কোন কাজ করা হয়নি। জানতে চাইলে সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল বলেন, কাজ করা হয়নি। তবে তিনি সহ ১৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজ করবেন বলে জানান তিনি। অভিযোগ রয়েছে, এডিবি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭টি ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়কে ইটের সোলিং এর কাজের জন্য পৃথকভাবে দেড় লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কোন চেয়ারম্যান কাজ বাস্তবায়ন না করে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা শুধু কাজের টেন্ডার বাস্তবায়ন করে থাকি। আপনারা ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, আমার জানা মতে কাজ করা হয়েছে। তারপরও আমি এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলব।
অপর দিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, আমি শুধু চেকে সই করে দিয়েছি। কাজ করা হয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।

