গোবিন্দগঞ্জে আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০২:০১ PM, ১৯ নভেম্বর ২০২০

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের দামোদরপুর গ্রামের রেজওয়ান মন্ডল দামোদরপুর মৌজায় ১৯৮১ সাল থেকে অগভীর নলকুপ স্থাপন করে নিজের এবং প্রতিবেশিগণের জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে ওই মৌজায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ স্থাপন করে। পল্লী বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ১৩০ ফটের মধ্যে হওয়ায় রেজওয়ান মন্ডলের অগভীর নলকুপটি স্টেকিংভুক্ত হয়। সেচনীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স প্রাপ্তও হন তিনি। সেই থেকে ওই মৌজার জমিগুলোতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন রেজওয়ান মন্ডল। কিন্তু একই গ্রামের হিংসুটে প্রকুতির পরশ্রীকাতর ব্যক্তি শহিদুল ইসলাম মন্ডল অগভীর নলকুপটি স্টেকিংভক্ত হওয়ায় তা বাতিলের জন্য রেজওয়ান মন্ডলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘদিন চলার পর শহিদুল ইসলাম তার মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

অভিযোগ রয়েছে, শহিদুলের মামলা প্রত্যাহারের পর রেজওয়ান মন্ডলের স্টেকিংভুক্ত কাগজপত্রের ফাইল গোপন করে গোবিন্দগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা পরিদর্শক কামরুজ্জামান, জুনিয়র প্রকৌশলী বজলুর রহমান ও ইলেকট্রিশিয়ান সারোয়ার জাহান বাবুর যোগসাজসে শহিদুল ইসলামের নামে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমোদন দেন।

অফিস থেকে শহিদুল ইসলামের নামে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমোদন দিলে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সহ শহিদুল ইসলামের নামে গোবিন্দগঞ্জ আদালতে মামলা করেন রেজওয়ান মন্ডল। আদালত উক্ত বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।

এ বিষয়ে আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মর্কতা শহিদুল ইসলামের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অপর দিকে, শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমার জানা নেই।
পরিদর্শক কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস থেকে আমাকে যেভাবে বলেছে, আমি সেভাবেই কাজ করেছি।

জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল কাদের জানান, শহিদুল ইসলাম তথ্য গোপন করে তার সংযোগটি অনুমোদন নেন। বিষয়টি আমরা জানার পর তার বিদ্যুৎ সংযোগটি স্থগিত করে দিয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন :