গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে, বুজরুক বোয়ালিয়া মৌজার সি/এস ১৭৯ নং যাহার এস,এ ২৬০ নং খতিয়ানভুক্ত ১০৪৪ শতক, দাগ,৬১৫/৬১৬ জোতের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে পৌরশহরের ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছমছেল হক বাদী হয়ে আখতার হোসেন ও তার ওয়ারিশ গণের বিরুদ্ধে ৬৬৮/৮৪ নং বন্টন মামলা করেন আদালতে। উক্ত মামলায় গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বাদীপক্ষে রায় দিলে রায়ের বিরুদ্ধে আখতার হোসেন ১৬৭/৯৭ নং অন্য আপিল মামলা করলে অন্য আপিল মামলাটি না মঞ্জুর করে পূর্বের রায় বহাল রাখে আদালত।
পরবর্তীতে আখতার হোসেন হাইকোর্ট ডিভিশনে ২৪৬০/২০০১ নং সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করলে শুনানী শেষে বাদীর রায়কৃত জমি বহাল রেখে মূল ৬৬৮/৮৪ নং বন্টন মামলার বিচারের জন্য গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। উক্ত মূল মামলাটি এখনো বিচারাধীন আছে। আখতার হোসেনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ নালিশী জোত জমির মধ্যে ২০৯ শতক জমি ২২৭/১৯৬১ ইং সালে প্রিয়েমশন মামলা প্রাপ্ত হয়েছে মর্মে দাবী করে আদালতে বিচারাধীন জমি বিভিন্নজনের নিকট বিক্রি করে। কিন্তু তাদের দাবী করা ২২৭/১৯৬১ ইং সালে প্রিয়েমশন মামলা আপিল আদালত ও হাইকোর্ট ডিভিশন ২২৭/১৯৬১ ইং সালের প্রিয়েমশন মামলার কাগজপত্র (জাবেদা) পর্যালোচনায় সৃজিত ও ভূয়া হিসেবে উল্লেখ করেন।
এদিকে, ছমছেল হক উচ্চ আদালতে মামলার রায় পাওয়ার পরও ২২৭/১৯৬১ ইং সালের প্রিয়েমশন মামলার জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২২৭/১৯৬১ ইং সালের প্রিয়েমশন মামলার রায় দাবী করে প্রতিপক্ষ আখতার হোসেনের ওয়ারিশ ফছিয়ার রহমান ফছির বলেন, ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক আমরা। আদালতে বিচারাধীন জমি কিভাবে বিক্রি করেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
