গোবিন্দগঞ্জের তৎকালীন এসিল্যান্ড অভিদীয় মার্ডি হত্যার বিচারের দাবীতে শোকর‌্যালি, প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৭:০১ PM, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিদীয় মার্ডি হত্যার ১০ বছর পূর্তিতে অবিদীয় মার্ডি স্মৃতি রক্ষা কমিটির আয়োজনে শোকর‌্যালি, প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা বুধবার (১১ জানুয়ারী) বেলা ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটামোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অভিদীয় মার্ডি স্মৃতিতে হত্যাকান্ডের স্থানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। শোকর‌্যালিতে সাঁওতাল নারী-পুরুষ ছাড়াও বাঙালিরাও কালো পতাকা হাতে অংশগ্রহণ করে।

পরে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মামলার বাদী ভিকটিমের বড় ভাই ফাদার স্যামসন মার্ডি, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, আদিবাসী নেত্রী তৃষ্ণা মুর্মু, বৃটিশ সরেন প্রমুখ।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিদীয় মার্ডি হত্যাকান্ডের নয় বছরেও শুরু হয়নি বিচারিক কার্যক্রম। এদিকে, দীর্ঘদিনেও বিচারকার্য শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার ও সাঁওতাল নেতারা।

মামলার বাদী ফাদার স্যামসন মার্ডি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দিনদুপুরে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের বেশ কিছু ক্লু আদালতে উপস্থাপন করেছি। কিন্তু তদন্তের নামে শুধু কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এই হত্যাকান্ডের জুডিশিয়াল তদন্ত চাওয়া হয়েছিল। এই হত্যাকান্ডের মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইওে থেকে যাচ্ছে। ফলে বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছি আমরা।

উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি অভিদীয় মার্ডি নিজ বাড়ি নওগাঁর ধামুরহাট থেকে মোটরসাইকেলে গোবিন্দগঞ্জ অফিসে যাচ্ছিলেন। তিনি সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ইক্ষুখামারের কাটা-ফাসিতলা সড়কের মাঝামাঝি পৌঁছলে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাকে ইক্ষুখামারের ভেতরে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধার তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ ১৩ জনকে আসামি কওে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন নিহতের বড় ভাই ফাদার স্যামসন মার্ডি।

আপনার মতামত লিখুন :