গাইবান্ধা হাসপাতালে হিসাব রক্ষকের চাকরি, স্ত্রী ও শাশুড়ির নামেও অঢেল সম্পদ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:০৯ PM, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

Spread the love

গাইবান্ধা প্রতিনিধি;

প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক পদে নুর এ ইসলাম হিরু গাইবান্ধা জেনারেল সদর হাসপাতালে দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছেন।

এরই মধ্যে নিজের ও তার স্ত্রী এবং শাশুড়ির নামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। গত কয়েক বছরের ব্যাংক হিসাবে কয়েক কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এই বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, নুর এ ইসলাম হিরু প্রায় দেড় যুগের পূর্বে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক পদে যোগদান করেন। এ সময় তার কোন পৈত্রিক সম্পত্তি ছিল না। এমনকি পৈত্রিকভাবে তিনি কোন সম্পত্তি পাননি। আর এই চাকুরী করেই গত ১৪/১৫ বছরে নিজে (নুর এ ইসলাম হিরু) অঢেল সম্পত্তির মালিক সেজেসেন। পাশাপাশি স্ত্রী রানু আখতার ও শাশুড়ী আনোয়ারা বেগমও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছেন।

নুর এ ইসলাম হিরু ও তার স্ত্রী, শাশুড়ী কীভাবে এত বিপুল সম্পদের মালিক হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরাও।

তাঁরা বলছেন, ২০২২ সালের ১৩ অক্টোম্বর গাইবান্ধা শহরের গোবিন্দপুর মৌজার (মহুরী পাড়ায়) মুরাদ-উল ইসলামের স্ত্রী সুলতানা আফরুজা ও কন্যা নওশীন তাবাসসুম এর নিকটের কাছ থেকে হিরু তার স্ত্রী রানু আখতার ও শাশুড়ী আনোয়ারার নামে ৭ শতক জমি ক্রয় করেন। যার মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। আর ওই যায়গায় বর্তমানে ৬ তলা ভবনের ৩ তলা পযর্ন্ত কাজের প্রায় ৬৫ ভাগ শেষ হয়েছে। পাথর দিয়ে এই ভবনের কাজটি করতে প্রায় ৩/৪ কোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্যায় হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে ৬/৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও শহরের পলাশপাড়ায় হিরুর ৪০/৫০ লাখ টাকার দামের একটি বাড়ী রয়েছে বলেও জানা গেছে।
অপরদিকে, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধলব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা গোপন করে মানি লন্ডারিং অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে।

নাম না প্রকাশ শর্তে গাইবান্ধা জেনারেল সদর হাসপাতালের ক’জন কর্মচারী জানান, প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক পদে নুর এ ইসলাম হিরু অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন।
এদিকে অসাধু কর্মচারী নুর এ ইসলাম হিরুর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এ বিষয়ে নুর এ ইসলাম হিরুর সঙ্গে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার মতামত লিখুন :