গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন; গোবিন্দগঞ্জে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামে জমি দখল

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৫৬ PM, ০৩ ডিসেম্বর ২০২০

Spread the love

গাইবান্ধা প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বর্ধনকুঠি গ্রামে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামে ১ একর ৩৩ শতাংশ জমি দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যু কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। এছাড়া ওই জমিতে থাকা মেহগিনি, ইউক্যালিপটাস ও বিভিন্ন ধরনের কলা গাছ কেটে সাবাড় করে নিয়ে যায় ভূমিদস্যুরা। এর প্রতিবাদ এবং জমি উদ্ধারের দাবিতে বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই দখলকৃত জমির মালিক বর্ধনকুঠি গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে আদনান প্রধান লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বর্ধনকুঠি মৌজায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত (জেএলনং-২৪৫, আর/এস খতিয়ান নং-২৮, সাবেক দাগ নং-৪৩৩, পুকুর পাড়) ১.৩৩ একর জমিসহ অন্য খতিয়ানের জমি ভোগদখল করে আসছিল। একই গ্রামের মৃত নুরু রহমান ওরফে ময়না কাজীর ছেলে ভূমিদস্যু কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক ওই জমি জবর দখলের পায়তারা করলে গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা (নং-১২৬/১২ অন্য) দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস্কো প্রদান করেন। এরপরও কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক ও তার সহযোগীরা আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা করলে আদনান প্রধান গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মিস ভাইলেশন মামলা (নং-৪০/১৪) দায়ের করে। ওই মামলাটিও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যু কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গোবিন্দগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুল বুঝিয়ে কৌশলে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর ওই জমিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এব্যাপারে প্রতিবাদ করায় ভূমিদস্যু কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা জমির মালিক আদনান প্রধানকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় আদনান প্রধান মামলা করতে গেলে পুলিশ অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য, ওই উপজেলায় একমাত্র ‘মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বানেশ্বর’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় বাজারে পূর্ব থেকেই বিদ্যমান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওই গ্রামের আমিরুল ইসলাম ও আমির হোসেন।

জানতে চাইলে কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক বলেন, যারা ওই জমির মালিকানা দাবী করছেন তাদের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। যেসব কাগজপত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে অফিসের তার কোন অস্তিত্ব নেই। ওই জমি আমাদের পৈত্রিক, তাই সেখানে মুক্তিযোদ্ধার নামে স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মামলা নয়, জিডি করতে এসেছিল। আদালতে মামলা থাকার কারণে তাদেরকে আদালতের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :