গাইবান্ধায় চাঞ্চল্যকর হাসান হত্যা মামলায় ৮ জনের আমৃত্যু কারাদন্ড
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কলেজ কমিটিকে কেন্দ্র করে এক কৃষককে হত্যার দায়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আটজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও ৮ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। জ্যেষ্ঠ জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক ১৮ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ রায় দেন।
দন্ডিতরা হলেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেরীরহাট ফাজিল অধ্যাক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলম লেবুসহ আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহআলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের একটি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ দেখা দেয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পাশের আমবাড়ী গ্রামের মৃত মমিনের পুত্র কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত পরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর নজরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, পুলিশ এ মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া চলার পর আদালত আটজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

