গাইবান্ধায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে প্রাণ গেল ৫ জনের

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৩:০৬ PM, ০৪ এপ্রিল ২০২১

Spread the love

ডিবিসি প্রতিবেদক;

গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘন্টব্যাপি হওয়া এই ঝড়ে গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে পাঁচজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আব্দুল গোফ্ফার (৪২), মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম (৫৫) নামের এক নারী, ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী বেগম (২৫) ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৬০)।

ঝড়ের তাণ্ডবে আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। তাছাড়া উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

ঝড়ে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

কামারাজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ২৮টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে। সেগুলোর অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে সেগুলোতে কতগুলো যাত্রী ছিলেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, তিনি তার উপজেলার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে লণ্ডভণ্ড ও ঘরবাড়ি গাছপালা তিনি দেখেছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তালিকা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানান, ঝড়ে ঘরের চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে এবং গাছ চাপায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, এছাড়া ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও ও পিআইওদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা পাওয়া গেলে বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :