গাইবান্ধায় আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি;
গাইবান্ধায় জেলা আ’লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রানার বাসা থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে এক মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্টেশন রোডের ওই জুতা ব্যবসায়ী সদর থানাপাড়ার বাসিন্দা মৃত হযরত আলীর ছেলে হাসান (৪৫)। তিনি প্রায় এক মাস যাবত নিখোঁজ ছিলেন।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে এলাকাবাসী রানার বাসায় ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দুপুরে সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মাসুদ রানার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক আওয়ামী লীগ নেতা রানাকে পুলিশ আটক করেছে।
এলাকাবাসী জানান, রানা একজন সুদের কারবারী। আফজাল সুজের ব্যবসায়ী হাসানের সাথে তার লেন-দেনের ঘটনা ছিল। তাই তাকে কৌশলে অপহরণ করে নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী রানাকে গণধোলাই দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রানাকে হেফাজতে নেয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হাসান এক মাস আগে লালমনিরহাট যান। গত ৫ মার্চ সেখান থেকে অপহৃত হন। এরপর বিভিন্ন স্থানে তাকে আটক রেখে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পসহ সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন অপহরণকারীরা। এসময় তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারায় হাসানকে নির্যাতন করত তারা।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সকালের দিকে হাসানের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। এতে লেখা ছিল, তার মৃত্যুর জন্য রানা দায়ী থাকবে।
সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান জানান, আর্থিক লেন-দেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

