গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি;
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনসহ সারাদেশের ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি।
প্রার্থী হলেন যারা- গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ডা. জিয়াউল ইসলাম জিয়া, গাইবান্ধা-২ (সদর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) বিএনপি সাবেক এমপি শামীম কায়সার লিংকন ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আলম সরকার।
গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে তিনি নেতাকর্মী নিয়ে কাজ করবেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা কেউ না। তাই দল যাকে ভালো মনে করেছে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি শামীম কায়সার বলেন, মনোনয়ন চুড়ান্তের খবর পেয়ে নেতা-কর্মীদের আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তারা ধানের শীষের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। জনতার বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ শ্রমসহযোগিতা কর যাবেন।
গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তারা সবাই ত্যাগী। দলের দুঃসময়ে তারা দলের হাল ধরেছেন। দলের সঠিক সিদ্ধান্তে নেতাকর্মীরা আনন্দিত। কারণ ইতিপূর্বে বিএনপির জন্য মাঠে কাজ করে এ জেলায় অনেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু এবার সেটা হয়নি। নেতাকর্মীরা ধানের শীর্ষ প্রতীককে বিজয় করতে কোমর বেঁধে কাজ করবেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী- সাদুল্লাপুর) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি বিএনপির দুঃসময়ে বিএনপির জন্য কাজ করছি। আমাকে দল সেই কাজের মূল্যায়ন করেছে। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দলকে এই আসনটি উপহার দেবো।
বিএনপির তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এবার দল মনোনয়নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা ত্যাগী, তাদের মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করে বিজয় ছিনিয়ে আনবেন বলে আশা করছেন তারা।

