গাইবান্ধায় কলা চাষে সোনালী হাসি বাম্পার ফলনে মুখে হাসি কৃষকের

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০২:৩৫ PM, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার;

কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা থাকায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কলা চাষ দিন দিন হয়ে উঠছে কৃষকদের নিকট সবচেয়ে লাভজনক ও সম্ভাবনাময় ফসল। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এ অঞ্চলে কলা চাষ এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

চাষিরা জানান, কলার চারা রোপণের পর ২৪ মাসে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে ফলন আগের বছরের তুলনায় অনেক ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে সোনালী হাসি। উপজেলার বসতবাড়ির পেছন, পুকুরের পাড়, পতিত জমি কিংবা খামারবাড়ির আশপাশে এখন সবুজে ঘেরা কলাবাগান। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ফলনও বেড়েছে বহুগুণে, আর তার সাথে এসেছে পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা।

উপজেলার সাপমারা, গুমানীগঞ্জ, কামারদহ, দরবস্ত ও পৌরসভাসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে বেশি পরিমাণে কলা আবাদ হয়েছে। বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩৬৫ হেক্টর জমিতে কলার চাষ চলছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সাগর, সবরি, অনুপম, চাম্পা প্রজাতির কলা। এর মধ্যে সবরি, মেহের সাগর ও অনুপম জাতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। কারণ, ধান, পাট বা আখের মতো প্রচলিত ফসলের তুলনায় কলা চাষে খরচ ও শ্রম দুই-ই কম, আর বাজারে বিক্রির ঝামেলাও তুলনামূলক কম। ফলে অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় নতুন অনেক কৃষকও ঝুঁকছেন কলা চাষে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন আশানুরূপ হয়েছে। বাজারদরও আগের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ায় তারা ভালো লাভের আশায় উচ্ছ্বসিত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, “গোবিন্দগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের আমরা নতুন প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে, আর দামও ভালো পেয়েছেন কৃষকরা। এতে অনেকেই নতুন করে কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

আপনার মতামত লিখুন :