খুঁটির জোর!
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি;
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নির্মিত হচ্ছে একটি সড়ক। কিন্তু নতুন সড়ক নিয়ে স্থানীয়দের মন্তব্যের শেষ নেই। অধিকাংশের মন্তব্য সড়কে খুঁটির জোরের দৌরাত্ম্য চলছেই, একেই বলে খুঁটির জোর। তাদের এমন মন্তব্যের কারণ মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই নির্মিত হচ্ছে সড়ক।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাদাই বাদলা গ্রাম পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মিটার নতুন এ সড়ক মুলকান্দি এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। যা এভাবে রেখেই কাজ সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি হলে আমাদের অনেক উপকার হবে তবে, বৈদ্যুতিক খুঁটি মাঝখানে রেখেই সড়ক করা হয়েছে। এর ফলে এ সড়কে ভ্যানগাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেশি রয়েছে।
শাহজাদুপর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের হাঁটার এ সড়ক নতুন করে মাটি ফেলার পর হেরিংবন বন্ড (এইচবিবি) করা হচ্ছে। প্রায় ৮০ লাখ টাকার এ প্রকল্পটির কাজ এখনো চলছে। এ সড়কটি নির্মাণ হলে তিনটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতেই রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তাটি সম্পন্ন হলে এলাকাবাসী দারুণ উপকৃত হবে। তিনি বলেন, মুলকান্দি এলাকায় সড়কের কাজ শেষ হলেও তবে মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। সড়কের মাঝখানে এ খুঁটি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ রফিক বলেন, সড়কটি আগে এভাবে ব্যবহৃত না হওয়ায় বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। পরে মাটি ভরাট থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ নতুন একটি সড়ক বানিয়ে এইচবিবি করা হয়েছে, যার কাজ এখনো চলমান রয়েছে। দুই বছর আগে সড়কটি সার্ভে করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। সড়কের পার্শ্ববর্তীরা জায়গা না দেওয়ায় মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়ক নির্মাণ করার বিষয়টি আমি পরে জেনেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি জানার পর খুঁটি অপসারণ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছি। শিগগিরই খুঁটি অপসারণ করতে পল্লী বিদ্যুৎকে চিঠি দেওয়া হবে।

