কালীগঞ্জে গণধোলাইয়ে গরু চোর নিহত
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি;
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৬ জন গরু চোরকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এসময় গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদস্তের জন্য ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেম মিজানুল হক।
আহতরা হলো- বগুড়ার সদর উপজেলার ক্ষেত্রদামা এলাকার বাবলার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা গেওনা ভিন্নত এলাকার আক্তারের ছেলে নাহিদ মিয়া (৩০), একই উপজেলার তাতভৈরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে হাসান আলী (৩০), নওগাঁর তেজনন্দী পাতবাইন এলাকার মান্নানের ছেলে গাজী হোসেন (৩৫) ও টাঙ্গাইলের ফজর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৬)। তবে নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
ওসি মিজানুল হক জানান, সোমবার ভোরে উপজেলার নাগরী ইউনিনের উলুখোলা এলাকার বড়কাউ গ্রামের বাসিন্দা কাউছারের বাড়ি থেকে ২টি গাভী ও একটি বাছুর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল একটি গরু চোর চক্র। পথে একই এলাকার কালিকুঠি গ্রামে সামাজিকভাবে পাহাড় লোকদের কাছে ধরা পড়ে। এ সময় তাদের হৈ চৈই শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং স্থানীয় মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে। পরে মাইকিং শুনে কয়েক গ্রামের লোকজন এসে তাদের গণপিটুনি শুরু দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত হয় আরও ৫ জন। এছাড়াও একই চক্রের আরও কয়েকজন চোর পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশে গিয়ে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে শান্ত করে এবং আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ওসি জানান, আহত ওই ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাই তাদের উন্নত চিবিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য একই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশিদুল হাসান জানান, আহত ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানোর পমামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন যাবৎ থেকে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী কয়েকজন থানায় লিখিত অভিযোগও করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ এলাকায় টহল জোড়দার করে এবং গ্রামবাসীকে পরামর্শ দেওয়া হয় স্থানীয়ভাবে পাহারা বসানোর জন্য। পুলিশের পরামর্শে স্থানীয়রা পাহারা বসান।

