কালিগঞ্জে কঠোর শাটডাউনের মধ্যেও প্রসাশনের নাকের ডগায় চলছে জমজমাট গরু হাট
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি;
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সাতক্ষীরা জেলা সহ সারা বাংলাদেশে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে শত-শত মানুষ। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষা জন্য সারাদেশে চলছে কঠোর শাটডাউন। ঠিক সেই সময় সরকারের নির্দেশে অমান্য করে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নে প্রতি শনিবার ও বুধবারে চলছে জমজমাট পশুর হাট।
বুধবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কুশলিয়া গরু হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব ও মুখে মাস্ক পরার কোনো বালাই নেই। হাজার-হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে ওই পশুর হাটে। এছাড়া সেখানে হাটবার হিসেবে বিভিন্ন পণ্যের বাজারে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ করা গেছে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। তাছাড়া কালিগঞ্জে উপজেলার বিভিন্নস্থানে কাঁচামালের বাজার, মাছ বাজার সহ সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানে জনসমাগম চোখে পড়ার মতো। নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করছেনা সাধারণ মানুষ। বাজারে, মোড়ে, খেলার মাঠসহ বিভিন্নস্থানে সাধারণ জনগণ বিনা প্রয়োজনে বসে আড্ডা দেয়। তবে উপজেলা প্রশাসন শাটডাউন বাস্তবায়নে উদাসীন বলে ধারণা করছে সচেতন মহল।
মাস্কবিহীন আব্দুল জব্বার ও সাত্তার নামে দুই গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়, তারা বলেন, মাস্ক পকেটে আছে। প্রচণ্ড গরমে দম ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে। ওসব করোনা আমাদের হবে না।
বাজারে গরু কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে ব্যক্তি বলেন, মাস্ক বাড়িতে ফেলে রেখে এসেছি। তবে এবার হাটে আসলে অবশ্যই মাস্ক নিয়ে আসবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাজী কাওফিল আরা সজলের ছোট ভাই কাজী বায়জিত হাটটি ইজারা নিয়েছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্ষমতার দাপটে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ও জমজমাট পশুর হাট চালিয়ে যাচ্ছে।
হাটের ইজারাদার কাজী বায়জিতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে হাটটি ইজারা নিয়েছি। সরকারি নিয়মে হাট পরিচালিত হচ্ছে। সকাল থেকে ১১ টা পর্যন্ত হাট চলছে। এছাড়া হাটে লোক সংখ্যা কম। করোনা নিয়ে হাটে আগত সব ব্যক্তি সচেতন।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোন গরুর হাট বসবেনা। যারা সরকারি নিয়ম অমান্য করে হাট পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

