করতোয়া নদীতে তীব্র ভাংগনে হুমকীতে বসতবাড়ী-আবাদি জমি

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:৪৮ PM, ৩০ মে ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীর পানি কমলেও তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার সামপারা, দরবস্ত ও মহিমাগঞ্জসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বসতবাড়ীসহ আবাদি জমি। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বেশকিছু আবাদি জমি।

অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মেরী, চক রহিমাপুর, চক রহিমাপুর (কামারপাড়া), পৌরশহরের খলসি, বোয়ালিয়া, দরবস্ত ইউনিয়নের সাবগাছি হাতিয়াদহ, সমসপাড়া, রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজিপাড়া ও মহিমাগঞ্জের বামন হাজরা গ্রাম ও গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজুপর আঞ্চলিক সড়কের কাইয়াগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার তীরবর্তী জনপদ প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বামন হাজরা গ্রামে একই পরিবারে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রযেছে। ইতোমধ্যে দুজনের কবর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাংগনে গ্রামটি দেশের মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে। সাপমারা ইউনিয়নের রহিমাপুর এলাকার বেরি বাঁধের স্লুইস গেট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সাপমারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য তুষার মাহমুদ জানান, নদী ভাংগনরোধে এখনো সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এটি স্থায়ীভাবে রোধ করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, এরআগে বেরি বাঁধের স্লুইস গেটসহ অনেক আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও এলাকার বসত-বাড়ি ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তাই ভাঙ্গনরোধে দ্রুত নদী শাসন ও টেকসই বেরিবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন (পাউবো) বোর্ডের গাইবান্ধা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এটিএম রেজাউর রহমান জানান, এই মুহুর্তে সঠিত তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর এলাকার বাঁধ ছিঁড়ে গেছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে নদীর বাঁধের সার্ভে কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে তালিকা করে ছবিসহ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে মিটিং করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :