এফডিসিতে নেওয়া হবেনা এটিএম শামসুজ্জামানের মরদেহ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৭:৪৮ AM, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক;

বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান না ফেরার দেশে চলে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।’

এটিএম শামসুজ্জামানের বড় মেয়ে কোয়েল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আব্বা আর নেই, গতকাল শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে আসেছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসছিলাম।

এর আগে শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য গত বুধবার সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এটিএম শামসুজ্জামানকে। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এ অভিনেতা।

আবু তাহের মোহাম্মাদ (এটিএম) শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন।

অভিনেতা হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করে তিনি আলোচনায় আসেন।

কিংবদন্তি এ কমেডিয়ান ও খল অভিনেতা ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৯৯ সালে ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমায় কমেডিয়ান চরিত্রে, ২০০১ সালে ‘চুড়িওয়ালা’, ২০০৯ সালে ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য এবং ২০১৭ সালে ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন এই অভিনেতা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। এফডিসিতে নেওয়া হবেনা এটিএম শামসুজ্জামানকে।

আপনার মতামত লিখুন :