একই ব্যক্তির নামে ৬ দিনে ৮টি মামলা
লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন এবং থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বিভিন্ন হুমকি ও উসকানী মূলক স্ট্যাটাস এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও গাড়ি চোরাই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কথিত সাংবাদিক ও পঞ্চপদের অধিকারী ইফতেখার আহম্মেদ খাঁন বাবুর বিরুদ্ধে ৬ দিনে ৮টি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর মাঝে পুলিশ বাদী হয়ে ২টি এবং অন্যব্যক্তি বাদী হয়ে আরও ৬টি মামলা দায়ের করেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাড়ি থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে ঘোড়াঘাট পুলিশ। এ সময় নিজের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন বাবু। তার লাইভে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে বাহিরে আসার অনুরোধ করা সহ সর্বশেষ তার বাড়ির বৈঠকখানার তালা ভাঙ্গার শব্দ শোনা যায়। গ্রেপ্তারের পর তার বাড়ি থেকে বৈধ কাগজপত্র বিহীন একটি চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বাবুকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। এর পর টানা ৫ দিনে অর্থআত্মসাৎ ও হুমকি ধামকি প্রদানের অভিযোগ এনে ৬টি মামলা দায়ের করেছে অন্য ব্যক্তিরা।
ইফতেখার আহম্মেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করার পর থেকেই বেড়িয়ে আসতে শুরু করে থলের বিড়াল। মামলার এজাহারে দেখা যায়, বিগত কয়েক বছরে ব্যবসা বানিজ্যের সুবাধে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীর কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিল বাবু। তবে নামমাত্র কয়েকটি করে টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছিল সে। অপরদিকে বাকি টাকা চাইতে গেলে পাওনাদারকে প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন হুমকি হামকি দিয়ে আসছিল বাবু। সাংবাদিক নেতা, যুবলীগ নেতা এবং স্থানীয় সাংসদের সাথে সুসম্পর্ক আছে, এমন পরিচয় দেওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতো না কেউই।
গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলার ওসমানপুর বাজারের এক হার্ডওয়্যারের দোকানদারের কল রেকর্ড ফেসবুকে ছেড়ে ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে বাবু। ওইদিন রাতেই দোকানদার তার ভয়েস রেকর্ড বিকৃতি করে ফেসবুকে ছড়ানো ও ওসির বিরুদ্ধে তার দোকানে চাঁদাবাজির তথ্য মিথ্যা উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, এই ৮টি মামলার বাহিরেও তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ থানায় এসেছে। আমরা সব গুলো অভিযোগ গভীর ভাবে তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগ গুলোর সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাবু নিজের নামে এবং বেনামে (ফেক আইডি) একাধিক ফেসবুক আইডি, ফেসবুক পেজ এবং জিমেইল ব্যবহার করত। তার ব্যবহৃত আমরা ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। আর ওইসব বিষয় নিয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিট কাজ করছে। সে আরও বড় কোন অপরাধের সাথে জাড়িত আছে কিনা! তাও আমরা তদন্ত করে দেখছি।

