উত্তেজনাপূর্ণ আচরণ করা যাবে না; মামুনুল হক
ডিবিসি প্রতিবেদক;
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন।
ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, সোনারগাঁওয়ের তৌহিদী জনতার প্রতি শুকরিয়া। তবে কোনো ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ আচরণ করা যাবে না। ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
শনিবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে ওই স্ট্যাটাস দেন তিনি। রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখার সময় মাত্র ৭ মিনিটের ব্যবধানে মাওলানা মামুনুল হকের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ২৫ হাজর লাইক, আড়াই হাজার কমেন্ট ও প্রায় দেড় হাজার শেয়ার হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেল ৩টা থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের পঞ্চম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে অবরুদ্ধ করা হয় তাকে। তার অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে নাজেহাল করেছেন। স্ত্রীসহ তাকে অবরুদ্ধ করার বিষয়টি ‘নারীসহ মাওলানা মামুনুল হক সোনারগাঁওয়ে আটক’ নামে ফেসবুক লাইভ করেন অবরুদ্ধকারীরা।
বিষয়টি দ্রুতই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেন।
এ দিকে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে হেফাজত নেতা-কর্মীরা সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের কেন্দ্রীয় নেতাকে উদ্ধা করে নিয়ে আসেন।
এর আগে সন্ধ্যায় মুক্ত হয়ে হেফাজতকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সাথে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। আপনারা শান্ত থাকুন।
হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অনেক দিন ধরেই মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতের নেতাদের বিষয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নানামুখী এ ষড়যন্ত্রের মধ্যে আজকের এ ঘটনাটিও ষড়যন্ত্র কি-না আমরা দলীয়ভাবে তা খতিয়ে দেখব।

