অবশেষে গাইবান্ধা সদর থানার ওসিকে বদলী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি;
অবশেষে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. মাহফুজার রহমানকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়।
শনিবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে সদর থানার ওসিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে (আরপিএমপি) বদলী করা হয়েছে।
গত ৩১ মে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। সেই কর্মসূচি থেকে সাতদিনের মধ্যে সদর থানার ওসির অপসারণের আহ্বান জানানো হয়। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অপসারণ না হলে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) অর্ধদিবস হরতাল পালনের আল্টিমেটাম দেয়া হয় কর্মসূচিতে। আল্টিমেটাম অনুযায়ী জেলা শহরে বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতালও পালিত হয়।
দাবীর মধ্যেছিল – সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানের অপসারণ, হাসান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার, সদর থানার অভিযুক্ত পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেনকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং গাইবান্ধা জেলায় অবৈধ দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা শহরের খানকা শরিফ সংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকার বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাসা থেকে ১০ এপ্রিল পাদুকা ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হাসান আলী শহরের থানাপাড়া এলাকার হজরত আলীর ছেলে এবং আফজাল সুজ গাইবান্ধা শাখার সাবেক মালিক। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে।
এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী বিথী বেগম সদর থানায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপর দুজন আসামি হলেন- শহরের স্টেশন রোডের জুতা ব্যবসায়ী রুমেল হক ও খলিলুর রহমান ওরফে বাবু মিয়া। এরা দুজনেই পলাতক।
উক্ত ঘটনার পর সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানের অপসারণসহ চার দফা দাবি উত্থাপন করে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। এ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়ে আসছে।

